ঢাকা-বিভাগ

চাইলেই চুড়িহাট্টার রাসায়নিক গুদাম বন্ধ করা যায় না


‘চাইলেই চুড়িহাট্টার রাসায়নিক গুদাম বন্ধ করা যায় না’
এক বছর আগে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ৭১ জন মানুষ। ওই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে রাসায়নিক গুদামকে দায়ী করা হয়। এর সূত্রে আলোচনা ওঠে পুরান ঢাকার বিপজ্জনক রাসায়নিক গুদামগুলো সরিয়ে ফেলার। সে সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু, এখনও আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন,  পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্যের ব্যবসা চলে। এগুলো বন্ধে বিভিন্ন সময় ডিএসসিসি পদক্ষেপ নিয়েছে। নিমতলীর অভিজ্ঞতা থেকে রুটিনওয়ার্ক হিসেবেই কাজ করতো ডিএসসিসি। তবে চাইলেই এসব দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণের নগর ভবনে চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহতদের স্বজনদের চাকরই, আর্থিক সহায়তা, পুনর্বাসন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন সাঈদ খোকন।
রাসায়নিক গুদামের কারণে সৃষ্ট ওই অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার কথা তুলে খোকন বলেন, চাইলেই পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামগুলো বন্ধ করে দেওয়া যায় না। ঢাকার বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ হয় এখান থেকে। ঘটনার পরপর এগুলো বন্ধ করে দিলে তার নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে। কিন্তু জীবনের আগে তো ব্যবসা নয়। জীবন আর জীবিকার সংগ্রামের সমন্বয় করতে আমরা চেষ্টা করছি।
রাসায়নিক এসব গোডাউন সরাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে উল্লেলহ করে সাঈদ খোকন বলেন, গোডাউনগুলো স্থানান্তরের জন্য ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারা কাজ করছে। আমরা নিরাপদ ঢাকা শহর গড়ে তুলবো।
ট্রাজেডিঘন সেই রাতের স্মৃতিচারণ করে মেয়র বলেন, এই এক বছর কেটেছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক স্মৃতি নিয়ে। সেই রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানার পর সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিল, ফোন দিয়ে দিয়ে সবাইকে ওঠানো হয়েছে। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করেছি। সারারাত কেউ দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি।

About Freelancer Noyon

0 Comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.